ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পূর্নবাসন দাবিতে বিক্ষোভ, ইউএনও অফিস ঘেরাও

12144705_889534974455838_5989135785643671443_nপেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় ইউএনও’র কার্যালয় ঘেরাও করেছে বঞ্চিতরা। জিটিসিএল’র গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ক্ষতিগ্রস্থ ছিন্নমূল পরিবারের প্রায় শতাধিক লোকজন ঘেরাও কর্মসূচিতে মিলিত হয়েছে। গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী লোকজনের বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে, এ পর্যন্ত এসব হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষগুলো পূর্ণবাসনের আওতায় আসেনি। সরকারের খাস খতিয়ানে শত শত পরিবার যুগযুগ ধরে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন হওয়ায় এসব পরিবার উচ্ছেদ হয়েছে। তারাও পূর্নবাসনের জন্য তৎপর হয়েছেন।

৮মে(রবিবার) উপজেলার সদর ইউনিয়নের মইয়্যাদিয়া সরকারী আশ্রায়ণ প্রকল্পের শতাধিক পরিবারের কয়েকশত সদস্য পেকুয়া উপজেলা পরিষদ অভিমুখ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এসময় দুপুর ১২টার দিকে মইয়্যাদিয়া মিছিল নিয়ে এসব পরিবারের নারী পুরুষরা পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)’র কার্যালয় ঘেরাও করেছেন। এসময় বঞ্চিত পরিবারের পক্ষ থেকে ন্যয্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে পেকুয়ার ইউএনও মারুফুর রশিদ খান বরাবর স্মারকলিপিসহ লিখিত আবেদন প্রেরণ করেন।

 জানা গেছে, সরকারের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের অধিন দেশে গ্যাসের জাতীয় চাহিদা মেটাতে বর্হিবিশ্ব থেকে তরল গ্যাস আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নৌপথে গ্যাস আনার জন্য জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত প্রায় ৯২কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ বাস্তবায়ন চলছে। পেট্রোবাংলার সহযোগি প্রতিষ্টান জিটিসিএল ওই কাজ বাস্তবায়ন করছেন। গত চার মাস আগে থেকে পেকুয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় আটশত বিরানব্বই কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে।

 সরকার জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ওই অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসন করে আসছেন। ১৯৯৬সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প হিসেবে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মইয়্যাদিয়া এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪’শত পরিবারকে পূর্নবাসন করেন সরকার। গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন হচ্ছে আশ্রয়ন প্রকল্পের উপর দিয়ে। এতে প্রায় শতাধিক পরিবার ফের উচ্ছেদ হয়েছে। তারা ক্ষতিপূূরন দাবিতে ওইদিন ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করে।

 এব্যাপারে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ ফয়েজ আহমদ ও মনছুর উদ্দীন জানান, আমরা উচ্চেদ হয়েছি। বাসস্থান আমাদের মৌলিক অধিকার। বেঁচে না থাকলে উন্নয়ন কি দরকার। তাই পূর্নবাসনের জন্য সংগ্রাম করছি। পেকুয়ার ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা পুর্নবাসনের জন্য তৎপর হয়েছে। তারা ক্ষতিপুরনের জন্য আমার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টি বিভাগকে লিখিত আবেদন করেছেন।

 পেট্টোবাংলা পরিচালক (প্রশাসন) মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থরা পুর্নবাসিত হবে। পেকুয়ার ইউএনও’র সাথে এ বিষয়ে কথা কথা বলবো। ক্ষতির পরিমান নির্ধারনের জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: